বিদ্যুৎ বিল কম করলো মুখ্যমন্ত্রী
বিদ্যুৎ বিল: রাজ্য সরকার পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যুৎ উৎপাদন ও শিল্পায়নের ভবিষ্যৎ এর কথা চিন্তা ভাবনা করে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। তারই মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হলো দেউচা পাচামি কয়লা খনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যকে বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে স্বনির্ভর করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু নতুন বছরের বাজেট পেশের পর এবার দাম কমছে বিদুৎ বিলে! মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণায় জানিয়ে দিলেন।
দেউচা পাচামির বিবরণ:
এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে—
•রাজ্যের বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ কমে যাবে।
•বিদ্যুতের মূল্য কমতে পারে।
•বিদ্যুৎ উৎপাদন ও দামের সম্ভাব্য পরিবর্তন।
•শিল্প বিকাশের নতুন সুযোগ তৈরি হবে।
•স্থানীয় কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা বাড়বে।
দেউচা পাচামির গুরুত্ব কেনো?
দেউচা পাচামি হল বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ কয়লা খনি। এটি গুরুত্বপূর্ণ শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের নয়, গোটা ভারতের অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। দেউচা পাচামিতে বিশাল পরিমাণ কয়লা মজুত রয়েছে। এই কয়লা সঠিকভাবে কাজে লাগানো যায়, তবে রাজ্যের বিদ্যুৎ উৎপাদনে আমূল পরিবর্তন আসবে।
সরকারের মতামত: দেউচা পাচামি
সরকারের মতে, দেউচা পাচামি থেকে উৎপন্ন কয়লা পরবর্তী ১০০ বছর পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য যথেষ্ট হতে পারে। এর ফলে রাজ্যবাসীকে লোডশেডিং বা বিদ্যুতের রাজ্যবাসীকে লোডশেডিং বা বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির সমস্যা থেকে রক্ষা করা সম্ভব হতে পারে।
পশ্চিমবঙ্গে চাকরির মেলা শুরু হচ্ছে, সরাসরি ইন্টারভিউ দিয়ে চাকরি পান…
দিতে হবে না বিদুৎ বিল:-
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারগুলির কথা ভেবে চালু করেছেন হাসির আলো প্রকল্প।
এই প্রকল্পের আওতায় থাকা পরিবারগুলোকে 100 শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুতের বিল মকুব করবে রাজ্য সরকার। রাজ্যে এই প্রকল্পের মাধ্যমে নিখরচায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে চলেছে। এর ফলে লক্ষাধিক পরিবার উপকৃতও হয়েছেন।
আপনি কি জানেন, রাজ্য সরকার একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত বিদ্যুতের বিল সম্পূর্ণভাবে মকুব করে থাকে। তবে কারা পেয়ে থাকেন এই সুবিধা?
০.৩ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন গৃহস্থ বিদ্যুতের প্রতি তিন মাসের খরচ ৭৫ ইউনিট এর মধ্যে হলে বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীর বিদ্যুৎ খরচ সম্পূর্ণ ফ্রী। যদি আপনার বিদ্যুৎ খরচ ৭৫ ইউনিট বা তার নীচে হয় তাহলে আপনাকে বিদ্যুতের বিল দিতে হবে না। অর্থাৎ রাজ্য সরকার ৭৫ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুতের বিলে একশো শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেবে।
বিদ্যুৎ বিল কম করলো মুখ্যমন্ত্রী
বিদ্যু বিলে মূল্য নিয়ন্ত্রণ করে কে?
বর্তমানে বিদ্যুতের দাম নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব রাজ্যের হাতে নেই, বিশেষ করে বেসরকারি সংস্থাগুলির ক্ষেত্রে। তবে সরকার যদি নিজস্ব কয়লা খনি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে শুরু করে, তাহলে উৎপাদন খরচ কমে যাবে, যা ভবিষ্যতে বিদ্যুতের দামও কমাতে পারে।
নতুন দিগন্ত কর্মসংস্থান ও উন্নয়নের:
দেউচা পাচামি প্রকল্প কেবলমাত্র বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ নয়, কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, এখানে প্রায় ১ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হবে।
ইতিমধ্যেই সরকার তরফ থেকে স্থানীয় মানুষদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের জন্য যারা জমি দিয়েছেন, তাদের পরিবারের সদস্যদের সরকারি চাকরি দেওয়া হয়েছে, এর পাশাপাশি অনেককে হোমগার্ড ও অন্যান্য সরকারি প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
কী কী চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হবে?
এত বড় একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গেলে কিছু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হবে —
•পরিবেশগত ভারসাম্য বজায় রাখা।
•জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা।
•প্রকল্পের দ্রুত বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা:
সরকার আশাবাদী যে, এই প্রকল্প আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই বাস্তবায়িত হবে যদি পরিকল্পনা মাফিক কাজ আগানো যায়। দেউচা পাচামি শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, গোটা দেশের বিদ্যুৎ ও শিল্প খাতের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠতে পারে। এই প্রকল্প যদি সঠিকভাবে পরিকল্পনা ও কার্যকর ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে করা হয়। তাহলে এই প্রকল্প রাজ্যের বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধান করতে পারে, কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারে এবং দীর্ঘমেয়াদে অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এখন এটাই দেখার বিষয়, কত তারাতারি সঠিকভাবে এই প্রকল্পের বাস্তবায়িত কার্যকর হয়।
আরও পড়ুন, আধার কার্ডের নতুন নিয়ম,শুধু ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালেই হবে, ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা ওটিপি লাগবে না!