সরকার কৃষকদের ঋন ছাড় দিয়ে ক্ষতিপূরণের টাকা দিবে! বিস্তারিত জানুন।

সরকার কৃষকদের ঋন ছাড় দিলো:ঋণ সম্পর্কে কম বেশি অবগত আছি আমারা সকলেই, যেমন- গৃহঋণ, ব্যক্তিগত ঋণের পাশাপাশি আর‌ও একটি ঋণ রয়েছে, যা দিয়ে রাজস্ব আদায় হয়। সেটি হল কৃষি ঋণ। এই ঋণ শুধুমাত্র কৃষকদের দেওয়া হয়। যে সমস্ত কৃষকরা এই ঋণ নিয়ে ছিলেন, এবার সরকার তাদের ঋণ ছাড় দিয়ে ক্ষতিপূরণের টাকা দিবেন। বিস্তারিত তথ্য জানতে আমাদের প্রতিবেদনটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ভালো করে মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

কৃষি ঋণ সম্পর্কে বিভিন্ন অভিমত:

সম্প্রতি নাবার্ডের একটি অনুষ্ঠানে রাজ্যে কৃষি দপ্তরের সচিব ওঙ্কার সিংহ মিনা কৃষি ঋণ সম্পর্কে বলেন যে ২০২৪-২৫ অর্ধ বর্ষে ৭৫ হাজার কোটি ঋণ হয়েছিলো। সম্ভাবনা করা হচ্ছে যে এই অর্থ বর্ষে তা ১ লক্ষ কোটি ছুঁয়ে যাওয়া সম্ভবনা আছে। সেই লক্ষ্য পূরণে জন্য কোন সমস্যা হবে না।

নাবার্ডের চিফ জেনারেল ম্যানেজার পি কে ভরদ্বাজ বলেন মনে করা হচ্ছে পরের বছর ‌১.২৭ লক্ষ কোটি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ছুঁয়ে যাবে।

নাবার্ডের পরিকল্পনার রিপোর্ট বলছে‌ আগামী অর্থবর্ষ থেকে সরাসরি কৃষিক্ষেত্রে ‌১.০৭ লক্ষ কোটি কৃষি পরিকাঠামো ও অন্যান্য ক্ষেত্র মিলিয়ে প্রায় ২০ হাজার কোটি ঋণ দেওয়ার লক্ষ্য রয়েছে। এছাড়া‌ও সেখানে আরও বলেন যে ছোট শিল্পের জন্য ‌ ২ লক্ষ কোটি ও বাড়ি শিক্ষা সহ অন্যান্য খাতে ৫৩ হাজার কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হবে বলে স্থির করা হয়েছ

কৃষি ক্ষেত্রে ঋণের প্রয়োজনীয়তা কেনো?

কৃষকদের কৃষি ক্ষেত্রে অনেকগুলো কারণে জন্য ঋণের প্রয়োজন হয় যেমন – ভালো বীজ উৎপাদন করতে বা দীর্ঘদিন ফসল মজুদের সময়। তবে কৃষি সংক্রান্ত এই ঋণের ক্ষেত্রে কয়েকটি ব্যাঙ্ক ব্যর্থ হয়েছে লক্ষ্য পূরণে এ কথাও মিনা বলেন।

ঋণের ছাড় দিবে সরকার?

কোন কৃষক যদি ঋণ নিয়ে ফসলের চাষ করে থাকে অনেক সময় বিভিন্ন কারনে ফসল ভালো না হলে বা ফসলের ক্ষতি হলে সরকার সেই কৃষকদের ঋণ ছাড় করে দেয় বা কিছু শতাংশ মুকুব করে দেয়। তাছাড়াও আপনারা যদি আপনাদের ফসলের ইন্সুরেন্স অর্থাৎ বীমা করা থাকে, তাহলে সরকার আপনাদেরকে ক্ষতিপূরণ স্বরূপ টাকা দিয়ে থাকে। যদি ক্ষয়ক্ষতি হয় বন্যা, বৃষ্টি,খরা, ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদির কারণে আপনাদের ফসলের ক্ষতিপূরণ স্বরূপ টাকা পাবেন।

কৃষি ঋণ সংক্রান্ত পরিকল্পনা:

নাবার্ডের চিফ জেনারেল ম্যানেজার পি কে ভরদ্বাজ বলেন এই ঋণ সম্পর্কে যে পরিকল্পনা আছে তা যদি সফল করবার জন্য স্টেট লেভেল ব্যাঙ্ক কমিটির সমস্ত সদস্যকে আরও সক্রিয় হওয়ার হবে।

মিনা বলেন যে, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যটি ধান উৎপাদনের ক্ষেত্রে স্বয়ংসম্পূর্ণ কিন্তু তৈলবীজ ও ডাল উৎপাদনের ক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে। এই দুই ক্ষেত্রে ‌এগিয়ে যাওয়ার পথ খুঁজবার জন্য নাবার্ডের সঙ্গে কথা বলা ও ঋণের অঙ্ক বৃদ্ধির মত পদক্ষেপ জরুরি।

সরকার কৃষকদের ঋন ছাড় দিলো
সরকার কৃষকদের ঋন ছাড় দিলো
WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

উল্লেখ্য সভাতে উপস্থিত রাজ্যের অর্থ দপ্তরের প্রধান সচিব প্রভাত মিশ্রের কথা অনুযায়ী,“রাজ্যে মোট দুধ উৎপাদন বাড়লেও, পশ্চিমের জেলাগুলিতে পরিকল্পনা ও অর্থের অভাবে বাজার পাওয়া যাচ্ছে না। তাই নাবার্ডের সঙ্গে যৌথভাবে এ ক্ষেত্রে কাজ করার ভাবনা রয়েছে রাজ্যের।’”

আরও পড়ুন, নতুন লক্ষ্মীর ভান্ডার কবে থেকে পাবেন? বিস্তারিত জানুন।

Leave a Comment