বাংলাকে স্বনির্ভর : কেন্দ্রের তরফ থেকে প্রতিটা রাজ্যের জন্য যেমন অর্থ বরাদ্দ থাকেন। তেমনি অর্থ কমিশনের তরফ থেকে গ্রামীণ এলাকার উন্নয়নের জয় পঞ্চায়েতগুলির জন্য অর্থ বরাদ্দ থাকেন। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের ২০২৪-২০২৫ সালের অর্থবর্ষের জন্য অনুদানের টাকা পাঠানো হয়েছে। বাংলার জন্য কেন্দ্রের মোট কত অর্থের বরাদ্দ করলেন? বিস্তারিত জানতে আমাদের এই প্রতিবেদনটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ভালো করে পড়ুন।
বাংলাকে কেন্দ্র কত টাকা দিল ?
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারেবারে অভিযোগ করেছেন কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না। এর মধ্যে একশো দিনের কাজ থেকে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা এমনকি আবাস যোজনাও রয়েছে। তবে এবার পঞ্চায়েতের জন্য বরাদ্দ টাকা দিতে কিছুটা হলেও স্বস্তি মিলবে বলে আশা করা হচ্ছে।
জানা যাচ্ছে, প্রথম কিস্তির বাকি থাকা ৪.৯৩২৩ কোটি টাকা ও দ্বিতীয় কিস্তির ৬৯৪.৪৪৬৬ কোটি টাকা মিলিয়ে মোট ৬৯৯ কোটি টাকা পাঠানো হয়েছে।
কোন উন্নয়নের জন্য এই অর্থ ব্যবহার হবে?
এই বরাদ্দের অর্থ রাজ্যের ২১টি জেলা পরিষদ, ৩২৬টি পঞ্চায়েত সমিতি ও ৩২২০টি গ্রাম পঞ্চায়েতকে দেওয়া হবে। যা, গ্রামের উন্নয়নের জন্য ব্যবহার করা হবে।
রেশনের বিশেষ প্যাকেজ ২০২৫: রমজান মাসে বাড়তি রেশনে খাদ্য সামগ্রী মিলবে! কোন কার্ডে কত?দেখুন…
কোন খাতে খরচ হবে বরাদ্দের টাকা?
কেন্দ্রের তরফ থেকে আসা এই অর্থ মূলত গ্রামের উন্নয়নমূলক কাজ যেমন রাস্তাঘাট, পরিকাঠামো, শৌচালয়ে ইত্যাদি তৈরির কাজে ব্যবহৃত হয়। টাকা বরাদ্দ হওয়ার পর নবান্নের তরফ থেকে পঞ্চায়েতগুলিতে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। নির্দেশে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের তরফ থেকে পাঠানো অর্থ ফেলে না রেখে দ্রুত কাজে লাগাতে হবে। প্রসঙ্গত, অর্থ কমিশনের তরফ থেকে প্রতিবছর দুবার এই অনুদান মেলে।

বরাদ্দের টাকা ফলাফল:
গ্রামীণ এলাকায় প্রশাসনের কার্য ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে যেমন সাহায্য করে তেমনি গ্রামগুলিকে স্বনির্ভর করে তোলে। কারণ গ্রামের উন্নয়নের জন্য যে অর্থ প্রয়োজন বহুক্ষেত্রেই দেখা যায় তা পর্যাপ্ত হয় না। তখন এই টাকা দিয়েই কার্য সম্পন্ন করে গ্রাম গ্রামবাসীদের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব হয়।
আরও পড়ুন,মার্চ মাসের টাকা কবে দিবে? লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, বৃদ্ধ ভাতা, বিধবা ও প্রতিবন্ধি ভাতা