Government of West Bengal
Government of West Bengal: রাজ্যবাসীকে যেভাবে গরমে নাজেহাল করে তুলেছে। এই হেন পরিস্থিতিতে স্কুলে স্কুলে চলছে গরমের ছুটি। এবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নতুন নির্দেশ সরকারি কর্মীদের স্বস্তি দিতে চলেছে। এই গ্রীষ্মে রাজ্যের তাপমাত্রা কার্যত রেকর্ড ছুঁয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় তাপমাত্রা 40 ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও বেশি ছুঁয়ে যাচ্ছে। এহেন পরিস্থিতিতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ডিউটি করা সরকারি কর্মীদের জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বড়সড় স্বস্তির ঘোষণা এসেছে। কী এই ঘোষণা বিস্তারিত তথ্য জানতে আমাদের প্রতিবেদনটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ভালো করে পড়ুন।
সরকারের কী বড়সড় স্বস্তির ঘোষণা করলেন?
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য ঘোষণা
নবান্ন জানিয়েছে, হাজার হাজার সরকারি কর্মীরা দৈনিক ডিউটি করেন 8 ঘণ্টা যা কমিয়ে 6 ঘণ্টা করা হয়েছে। অর্থাৎ এবার থেকে তাঁরা দিনে 2 ঘণ্টা কম ডিউটি করবেন।
এই সুবিধা কারা পাবেন?
•ট্রাফিক পুলিশ (Traffic Police):
প্রতিনিয়ত রাস্তায় দাঁড়িয়ে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা দায়িত্ব তাঁদের কাছে থাকে। প্রচণ্ড রোদ, গরম, বৃষ্টিতে তাঁরা সবসময় রাস্তায় থাকেন। তাপপ্রবাহের সময় তাঁদের স্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখে পড়ে যায়। এবার সরকার ট্রাফিক পুলিশের নতুন ডিউটি টাইম করলেন।
•পুরসভা অন্যান্য ফিল্ড স্টাফ
কর্মী:
•স্বাস্থ্য দপ্তরের ফিল্ড কর্মী,
•বিদ্যুৎ দপ্তরের গ্রাউন্ড টিম,এবং •যাঁরা বাইরের কাজ করেন।
এই সুবিধা কারা পাবেন না ?
যে সকল সরকারি কর্মীরা অফিসে বসে কাজ করেন। যেমন- ফাইল ওয়ার্ক, প্রশাসনিক অফিসার। এই সমস্ত কর্মীরা এই সুবিধাটি থেকে বঞ্চিত থাকবেন।
সরকারের এহেন সিদ্ধান্তের কারণ কী?
•ভয়ানক তাপপ্রবাহ:
পশ্চিমবঙ্গে দিনের তাপমাত্রা 42 ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। দুপুর 12টা থেকে বিকেল 4টা পর্যন্ত রাস্তায় থাকা জীবনঝুঁকির সমান।
•কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা:
অতিরিক্ত গরমে হিট স্ট্রোক, ডিহাইড্রেশন, মাথা ঘোরা, রোদ লেগে অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা। ট্রাফিক পুলিশ বা ফিল্ড কর্মীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি রোধ করতেই এই পদক্ষেপ।
কবে থেকে কার্যকর এবং চলবে নতুন ডিউটি সময়?
নবান্ন জানিয়েছে, এই নিয়ম অবিলম্বে কার্যকর হতে চলেছে। যতদিন তাপপ্রবাহ চলবে, ততদিন কর্মীদের জন্য এই নিয়ম চালু থাকবে। আর এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কর্মীর পুরোনো 8 ঘণ্টার ডিউটি রুটিনে ফিরেয়ে নেওয়া হবে।

সরকারি বিবৃতিতে কী বলা হয়েছে?
নবান্নের এক শীর্ষ সরকারি কর্তা বলেছেন- “গরমে ফিল্ড কর্মীদের প্রাণের ঝুঁকি রয়েছে। তাই কর্মীদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবেই এই সাময়িক পরিবর্তন আনা হয়েছে।”
গ্রীষ্মের চরম কষ্টের মধ্যে সরকারের এই সিদ্ধান্ত সত্যায় প্রশংসনীয়। যাঁরা জনসেবায় জন্য রাস্তায় নেমে কাজ করেন, তাঁদের সুরক্ষা দেওয়া সরকারের দায়িত্ব। সরকারের এই পদক্ষেপে তা স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হল। জনগণের সুবিধার জন্য যাঁরা নিজেদের জীবন বাজি রাখেন, তাঁদের প্রতি সহানুভূতি ও সুরক্ষা দেওয়া এক মানবিক এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।