HMPV Virus In India: নতুন ভাইরাস দ্রুত ছড়াচ্ছে ভারতের! এই ভাইরাস কি করোনা ভাইরাসের মত বিপজ্জনক? বিস্তারিত জানুন।
HMPV Virus In India 2025
HMPV Virus In India: নতুন বছরের প্রথম দিকেই দুঃসংবাদ। চীনদেশে থেকে ভারতে প্রবেশ করল নতুন HMPV ভাইরাস। এই নিয়ে সকালে মধ্যে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। এই ভাইরাস কতটা বিপদজনক? কাদের সংক্রমণ হতে পারে? সংক্রমিত হলে কি করতে হবে? বিশেষজ্ঞরা কি বলছেন? তাই আজকের প্রতিবেদনে এই নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানাবো। তাই প্রতিবেদনটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ভালো করে পড়ুন। HMPV Virus In India.
Table of Contents
HMPV ভাইরাস কী? কতটা বিপদজনক?
ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের মতে, এ ভাইরাস সাধারণত ঠান্ডা লাগার মত উপসর্গ সৃষ্টি করে। এই ভাইরাসের পুরো নাম হল হিউম্যান মেটাপনিউমো ভাইরাস। এটা মোটেই করোনার মত শক্তিশালী বা প্রাণনাশক ভাইরাস নয়। এই ভাইরাস মূলত শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়, কখনো কখনো এটা নিউমোনিয়া, হাঁপানি, ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিজিজ এর মত নিম্ন শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ ঘটায়। 2001 সালে ডাচ গবেষকরা আবিষ্কার করেন এই ভাইরাস। এটা মূলত সর্দি কাশির মতন একটা সাধারন ভাইরাস। এটি শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমনের জন্য দায়ী। শীতকালে এই ভাইরাস বেশি দেখা যায়। HMPV Virus In India.
HMPV ভাইরাসে কাদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে?
এই ভাইরাসে মূলত ছোট শিশু এবং বৃদ্ধ ব্যক্তিরাই আক্রান্ত হতে পারেন। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একটু কম তাদের এই সংক্রমণ ঘটতে পারে। তবে এটা কোভিডের মতো শক্তিশালী নয় তাই চিন্তা করার কোনো কারণ নেই। বর্তমানে এই রোগের কোন চিকিৎসা নেই, কোন টিকা নেই। HMPV Virus In India.
বর্তমানে পৃথিবী জুড়ে সংক্রমণের চিত্রটি কেমন?
এই ভাইরাসটি চীন দেশে থেকে উৎপত্তি হয়েছে। সম্প্রতি বেশ কিছুদিন ধরে চীনের হসপিটাল গুলিতে ভিড় জমেছে রোগীদের। এই নিয়েই ইতিমধ্যেই গোটা পৃথিবী জুড়ে শুরু হয়ে গেছে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক। চীন ছাড়াও মালয়েশিয়া এবং ভারতে এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। ভারতের বেঙ্গালুরুতে 8 মাসের একটি শিশুর দেহে এই ভাইরাস পাওয়া গেছে। যদিও এই আক্রান্ত শিশুটির কোন ভ্রমণ ইতিহাস নেই। HMPV Virus In India.
HMPV ভাইরাসের প্রাথমিক লক্ষণ কী?
•শীতকালে জ্বর-সর্দি-কাশি খুবই স্বাভাবিক। এরকমই আর একটি স্বাভাবিক ভাইরাস হলো HMPV, তাই ভয়ের কোন কারণ নেই।
•প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে জ্বর, সর্দি, গলা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, ফুসকুড়ি, নাক বন্ধ প্রভৃতি অসুবিধা হতে পারে।
•এই ভাইরাস আক্রান্ত মানুষের আশেপাশে থাকলে এটি ছড়িয়ে যায় হাঁচি, কাশির মাধ্যমে। হাত মেলানো, চুম্বন প্রভৃতি অন্য কারণ।
এই ভাইরাসের চিকিৎসা সম্পর্কে কী জানা গেছে?
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ(ICMR) এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এটা কোন গুরুতর ভাইরাস নয়। ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (WHO) তরফ থেকে এই বিষয়ে কোন কড়া নির্দেশিকা জারি করেনি। তাই চিন্তার কোন কারন নেই। বাইরে বেরোলে মাস্ক ব্যবহার করা, অন্য কারোর হাঁচি কাশির সংস্পর্শে না আসা, স্যানিটাইজার ব্যবহার করা প্রভৃতি সাবধানতা নেওয়া যেতে পারে। যদি কোন শিশু বা ব্যক্তি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হন, তাহলে তাদের কিছু সাধারন স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে এবং উপযুক্ত ওষুধ খেতে হবে। অতিরিক্ত শ্বাসকষ্ট বা অন্য কোন সমস্যা ছাড়া হাসপাতাল যাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না।

সাধারণ মানুষদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু পরামর্শ:
সকলেই জানো হচ্ছে যে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া গুজবে ভয় পাবেন না। করোনা ভাইরাসের মত, HMPV ভাইরাস কোন প্রাণঘাতী ভাইরাস নয়। শীতকালে সর্দি, কাশি, জ্বরের মতন স্বাভাবিক লক্ষণ এই রোগের। তাই অযথা ভয় না পেয়ে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করুন। প্রয়োজন হলে ভয় না পেয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। এটি করোনা ভাইরাসের মত কোন শক্তিশালী ভাইরাস নয়। চিন্তার কিছু নেই 5 থেকে 7 দিনের মধ্যে আক্রান্ত ব্যক্তি সুস্থ হয়ে উঠবে।
আরও পড়ুন,Bangla Shasya Bima 2025:ফসলের ক্ষতিপূরনের টাকা কবে দিবেন? বিস্তারিত দেখুন।