Lakshmi Bhandar Scheme: লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন ভুয়ো আধার কার্ড দিয়ে , হাতেনাতে ধরা পড়লেন এক মহিলা!
Application For Lakshmi Bhandar Scheme With Fake Aadhaar Card
Lakshmi Bhandar Scheme:পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজ্যের জনগণের কল্যাণে জন্য বিভিন্ন প্রকল্প চালু করেছে। এই প্রকল্পগুলোর মধ্যে একটি হল লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প। এই প্রকল্পটি মহিলাদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করে। যা জনসাধারণের কাছে প্রচুর জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। কিন্তু সম্প্রতিকালে একটি জালিয়াতির ঘটনা কর্তৃপক্ষকে হতবাক করেছে। রাজ্যে এক ব্লকে একজন মহিলা জাল আধার কার্ড ব্যবহার করে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের অপব্যবহার করার চেষ্টা করেছিলেন। যা আবার হাতেনাতে ধরা পড়ছে। কে সেই মহিলা, কোন অঞ্চলের এই ঘটনা ঘটেছে বিস্তারিত জানাবো এই প্রতিবেদনে।
Table of Contents
রাজ্যে ঘটেছে টা কী?
জালিয়াতির ঘটনাটি ঘটেছে বালুরঘাট বিডিও অফিসে। বালুরঘাটের জগদীশপুরের বাসিন্দা ভারতী দেবনাথ এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে। তিনি লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন করার জন্য জাল আধার কার্ড ব্যবহার করার চেষ্টা করতে গিয়ে ধরা পড়েন। ভারতী দেবনাথ তার আসল আধার কার্ডের সাথে জালিয়াতি করেছিলেন, তার বয়স এবং ঠিকানা পরিবর্তন করেছিলেন। তবে, তিনি আসল আধার নম্বরটি রেখেছিলেন। তিনি এই জাল আধার কার্ড ব্যবহার করে নিজের ব্লকের বাইরে অন্য ব্লকে এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করেছিলেন।
কীভাবে জালিয়াতি করা হয়েছিল?
তথ্য অনুসারে, ভারতী দেবনাথের জন্ম 8 October, 2001 সালে। এই সাল অনুযায়ী তার বর্তমান বয়স 21 বছর। কিন্তু তার জাল আধার কার্ডে, তার জন্ম সাল পরিবর্তন করে 1997 সাল করা হয়েছিল, যা লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় সর্বনিম্ন বয়স। কিন্তু জালিয়াতি বিষয়টি আরও আড়াল করার জন্য, জাল কার্ডে তার ছবি এবং অন্যান্য বিবরণ ইচ্ছাকৃতভাবে ঝাপসা করা হয়েছিল। তিনি বালুরঘাট অফিসে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের আবেদন করার জন্য এই জাল আধার কার্ড ব্যবহার করেছিলেন। Application For Lakshmi Bhandar Scheme With Fake Aadhaar Card.
কীভাবে জালিয়াতি ধরা পড়ল?
জানা গেছে, অফিসের কর্মীরা ভারতী দেবনাথের নথিপত্র যাচাই করার সময় তাঁদের সন্দেহ হয়। তারপরে ভারতী দেবনাথের কাছে আধার কার্ড দেখাতে বলে তিনি জাল আধার কার্ডটি দেখান। সেই আধার কার্ড দেখে বিডিও অফিসার সম্বল ঝাঁ বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হন। তারপরে বিডিও অফিসার অনলাইনে বিস্তারিত তথ্য যাচাই করার পর তিনি দেখতে পান যে জাল কার্ডে দেখানো বয়সের সাথে সঠিক আধার কার্ড বয়সে মিল নেই, তার আসল বয়স 21 বছর, বরং 25 বছর নয়। এছাড়াও তিনি আরও জানতে পারেন যে তার ঠিকানা পরিবর্তন করা হয়েছে। অফিসার যখন সেই মহিলার মুখোমুখি হন, তখন তিনি অফিস ছেড়ে পালিয়ে যান এবং জালিয়াতির বিষয়টি সবার সামনে প্রকাশ করে।

বিডিও অফিসার কী বললেন?
বালুরঘাট ব্লকের বিডিও সম্বল ঝাঁ ব্যাখ্যা করেন যে, “লক্ষ্মী ভান্ডার প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় সর্বনিম্ন বয়স 25 বছর। কিন্তু মহিলা তার আধার কার্ড দেখালে তিনি সন্দেহভাজন তালিকায় পড়েন। অনলাইনে বিস্তারিত যাচাই করার পর, সত্য সামনে আসে এবং বুঝতে পারেন যে কার্ডটি জালিয়াতি করা হয়েছে।” তিনি আরও বলেন যে, “তাঁকে যখন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, তারপর তিনি তারাহুরো করে পালিয়ে যান এবং জালিয়াতির বিষয়টি নিশ্চিত হন। এই ঘটনাটি সরকারি প্রকল্পের অপব্যবহার করা এবং নথি যাচাইয়ের গুরুত্ব তুলে ধরে।”Application For Lakshmi Bhandar Scheme With Fake Aadhaar Card.
আরও পড়ুন,Rules Change : ১ জানুয়ারি থেকেই একাধিক নিয়মে আসবে বড় পরিবর্তন! সরাসরি পকেটে পড়বে তার প্রভাব।